Friday, February 2, 2018

প্রযুক্তির সেরা ৫ কর্ণধার, যাদের সম্পর্কে না জানলেই নয়।

এমন কিছু প্রতিভাবান মানুষ আছেন যারা নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেই ক্ষান্ত হননি, নিজ কর্মদক্ষতা ও প্রভাবক্ষম ব্যক্তিত্বের কারণে পৌঁছে গেছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তাদের মধ্য থেকে ৫ সেরা প্রতিষ্ঠান কর্ণধারের কথা উল্লেখ করা যাক।

জেফারি পি. বিজোস
ই-কমার্সের পৃথিবীতে ঈর্ষনীয় স্থান দখল করে আছে যে প্রতিষ্ঠান তার নাম আমাজন। বিশ্বব্যাপী অনলাইন বিকিকিনির এ প্রতিষ্ঠানটি তার যাত্রা শুরু করেছিল ছোট্ট একটি গ্যারেজে। সেই অবস্থান থেকে একহাতে তুলে এনে সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি হিসেবে অধিষ্ঠিত করে দিয়েছেন জেফারি পি. বিজোস। বর্তমানে তিনি আমাজনের সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন। ১৯৯৬ সালে যাত্রাকারী প্রতিষ্ঠানটি ১৮ বছরের ব্যবধানে এতোখানি গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ততায় নিজেদের নিয়ে গেছে যে বিশ্বের প্রায় ৩ কোটি মানুষ অনলাইন বাজার আমাজনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ার কথা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় স্বীকার করেছে।


ইয়ুন জং ইয়ং


ইয়ুন জং ইয়ং দক্ষিণ কোরিয়ায় ইলেক্ট্রনিক জায়ান্ট  স্যামসাং-এর সিইও হিসেবে কর্মরত ছিলেন ১৯৯৬ থেকে টানা ২০০৮ পর্যন্ত। স্যামসাং তার মোবাইল ফোন ও কম্পিউটার মাইক্রোচিপের জন্যে পৃথিবীখ্যাত। তবে বৈপ্লবিক ও অভিনব সাফল্য আসে স্যামসাং লিকুইড ক্রিস্টাল ডিস্ক (এলসিডি) টেলিভিশন নিয়ে আসার পর। ৯৬ থেকে পৃথিবীর বহুজাতিক অসংখ্য প্রতিষ্ঠানকে হারিয়ে দিয়ে প্রযুক্তির বিভিন্ন খাতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে স্যামসাংকে দাঁড় করিয়ে দেয়ার জন্যে ইয়ুন জয় ই্য়ং প্রযুক্তিবিশ্বে খ্যাতিমান হয়ে থাকবেন।


মার্গারেট সি. হুইটমান


আরেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-বে চিরঋণী হয়ে থাকবে মার্গারেট সি. হুইটমানের কাছে। মার্গারিট ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৭ পর্যন্ত ই-বে’র সঙ্গে সিইও হিসেবে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৮ সালে ছোট্ট প্রতিষ্ঠানটিতে মাত্র ৩০ জন কাজ করতেন, বার্ষিক লভ্যাংশ ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। ২০০৭ সালে তিনি যখন ই-বে ছেড়ে আসেন তখন ১৫ হাজার কর্মী মুখরিত ই-বে’র লভ্যাংশ ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার। ই-বে ছাড়ার পর মার্গারিট আরও কাজ করেছেন ড্রিমওয়ার্কস, প্রোক্টর এন্ড গ্যাম্বল, ওয়াল্ট ডিজনীর মতো বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানে।


জন টি. চেম্বার


ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়ে জন টি. চেম্বার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সিসকো সিস্টেমস-এ প্রবেশ করেন, তখন ১৯৯৫ সাল, আজও একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। ৭ কোটি মার্কিন ডলারের ব্যবসাকে তিনি এক হাতে উন্নীত করেছেন ৪ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের ব্যাবসায়। টাইম ম্যাগাজিনের পরিসংখ্যানে বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ মানুষের একজন হিসেবে নিজেকে অধিষ্ঠিত করেছেন জন টি. চেম্বার।


স্টিভ জবস


স্টিভ জবস-এর কথা সবার শেষে বলা হচ্ছে। হয়তে এজন্যে যে তিনি উল্লিখিত মানুষগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় মাপের, ব্যক্তিত্বের, সাফল্যের অধিকারী ছিলেন, তার অকল্পনীয় জনপ্রিয়তার মধ্যে যার ছাপ লুকিয়ে আছে। তাকে বলা হয় মিডাস, গ্রীক পুরাণের রাজা মিডাস কোন বস্তুতে হাত রাখলেই তা সোনা হয়ে যেতো। জীবনের চরম হাতাশা ও সংগ্রামের ভেতর দিয়ে সাফল্যপ্রসূন তুলে এনে, নিজ প্রতিষ্ঠান অ্যাপলকে অনন্য উচ্চতায় ও গুরুত্বে আসীন করে তিনি অকালে চলে গেছেন। ১৯৯৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত কর্মজীবনে নক্ষত্রের আলো ছড়িয়েছেন স্টিভ জবস।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: