আপনার যদি কাজে মন না বসে তাহলে এই পোষ্টটি দেখতে পারেন। আশাকরি উপকার পাবেন।

অনেক সময় ধরে কম্পিউটারে টাইপ করা কিংবা একটানা কোন কিছু লিখে যাওয়া, খেলা করা, পড়াশোনা- যাই বলুন না কেন এসব কিছুই কাজের মধ্যে পড়ে। প্রশ্ন হচ্ছে, কতক্ষণ আপনি একটানা কাজ করে যেতে পারবেন? দুই ঘন্টা, তিন ঘন্টা কিংবা ধরুন চার ঘন্টাই?

বিজ্ঞানীরা বলছেন, আমাদের মস্তিষ্ক হচ্ছে বিস্ময়ের আধার। আমরা প্রচুর তথ্য জমা করে রাখি, কিন্তু কোন তথ্য আমাদের জন্য জরুরী তা আমরা অনেক সময়েই বুঝতে পারি না। এসব দরকারী নয় এমন তথ্য আমাদের মাথা ভার করে রাখে এবং কাজ থেকে বিচ্যুত করে।
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রবার্ট হার্স্টম দিয়েছেন কিছু উপায় যার মাধ্যমে আপনি সহজেই কাজে মন বসাতে পারবেনঃ

১) সব কাজ একসাথে সামনে না নিয়ে আলাদা আলাদা করে করুন। এক্ষেত্রে চিরকুট বানিয়ে ফেলতে পারেন কিংবা একটি চেকলিস্ট তৈরি করে ফেলতে পারেন। যে কাজগুলো হয়ে গিয়েছে তা চেকলিস্ট থেকে কেটে দিন।

২) অফিসের বস আপনাকে কাজ বাদ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের সময় মৃদু তিরস্কার করছেন? এমন অভিজ্ঞতা যাদের হয়েছে, তাদের জন্য রবার্ট বলেছেন ভিন্ন কথা।
একটানা কাজ করা হলে নিজেকে পুরস্কৃত করুন। খানিক সময় ঘুরে আসুন ফেসবুক থেকে কিংবা ইউটিউব থেকে। আর সময় কাটাবেন কতক্ষণ? খুব বেশি হলে ৭-১০ মিনিট। তারপর মন চাঙ্গা করে নিয়ে পূর্ণ উদ্যমে আবার কাজ শুরু করুন।

৩) হালকা সুরের গান শুনতে পারেন। তবে এখানে রবার্ট বলেছেন, গান শোনার সময় তা যদি কোন টিউন বা সুর হয় তাহলে ভালো হয়। অর্থাৎ, শুধুমাত্র সুর শুনতে পারেন। কোন গানের কথা নয়। সুর কাজে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করবে। কিন্তু গানের কলি আপনাকে কাজ থেকে বিচ্যুত করবে।

৪) কাজের সময় ফোন আসছে বা টেক্সট মেসেজ এলার্ট বিপ করে উঠছে। এমনটি হতেই পারে। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কোন ফোন যদি না হয়, তাহলে আপনি তাকে ফিরতি একটি বার্তা পাঠিয়ে বলুন যে আপনি ব্যস্ত আছেন।

Comments

Popular posts from this blog

এইচটিএমএল এর সকল ট্যাগ এর তালিকা। সংগ্রহে রাখুন অবশ্যই কাজে লাগবে।

অবসর সময় মজা করে কাটাতে আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম মজার কিছু ওয়েবসাইট।

ওয়েবসাইট তৈরীরর আগে যে বিষয়গুলো আপনার জানা দরকার।