আসসালামুয়ালাইকুম । আশা করি সবাই ভালই আছেন । টেরেন্ট কি অনেকেই জানে না আবার অনেকে জানে । তাই যারা জানেনা তাদের জন্য আজ আমার এই লেখা । আশা করি এর মাধ্যমে জানতে পারবেন টরেন্ট সম্পর্কে । তাহলে শুরু করা যাক ।
টরেন্ট
২০০১ সালে পাইথন প্রোগ্রামার ব্রাম কোহেন বিট টরেন্ট এর ধারণার উদ্ভাবন করেন । ২০০৪ সালের দিকে টরেন্ট জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে এবং ২০০৯ সালে টরেন্ট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দারায় তখনকার Facebook ও Youtube এর ব্যবহারকারীর যোগফলের সমান ।
টরেন্ট কি ?
আমরা ইন্টারনেট থেকে যেসব ডাটা ডাউনলোড করি তা বিভিন্ন প্রোটকলের মাধ্যমে ডাউনলোড হয় । প্রোটকমকে রাস্তা বলা যেতে পারে । যে রাস্তা দিয়ে ডাটা ডাউনলোড হয় প্রোটকল । টরেন্ট একটি ডাটা বা ফাইল শেয়ারিং প্রোটকল । সাধারণত আমরা যেসব ফাইল ডাউনলোড করি তা কোন না কোন সার্ভারে জমা থাকে আর সেখান থেকে ডাউনলোড করি কিন্তু টরেন্ট কোন সার্ভার থেকে ডাউনলোড হয় না । এটা ডাউনলোড হয় অন্যের কম্পিউটার থেকে । এধরণের নেটওয়ার্ককে P2P File Sharing Network ও বালে ।
টরেন্ট কিভাবে কাজ করে ?
টরেন্ট এর নিজস্ব কোন সার্ভার নেই তাই টরেন্ট এর ফাইল গুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র করে অনেক গুলো পিসি তে জমা থাকে। প্রথমে একজন কিছু ফাইল বা ডাটা নিয়ে একটি টরেন্ট ফাইল বানায়। এই টরেন্ট ফাইলে থাকে ওই ডাটা গুলোর তথ্য যে কি কি, কোন ডাটা এবং সেটা তার কম্পিউটারের কোন লোকেশন থেকে নেয়া হবে। সেটা তৈরী করার পর একটি টরেন্ট ডাউনলোডার সাইট এ সাবমিট করা হয় আর সেখান থেকে শুধু টরেন্ট ফাইলটি ডাউনলোড করতে হয়। এবং টরেন্ট ডাউনলোডার সফটওয়্যার এর মাধ্যমে ডাটা গুলো ডাউনলোড শুরু হয়।
টরেন্টের কিছু শব্দ যা জানা দরকার
Torrent : P2P ফাইল শেয়ার ।
P2P : Peer 2 Peer .
Peer : যে একি সময়ে ডাউনলোড ও আপলোড করে ।
Seeds : যে আপলোড করে ।
Client : যে সফটওয়ারের মাধ্যমে টরেন্ট ডাওনলোড করা হয় ।
Tracker : যে সার্ভারে টরেন্ট ফাইলটা রাখা হয় অর্থাৎ ট্র্যাকার হলো মাধ্যম ।
টরেন্টের সুবিধা
১ । যে কোন ফাইল পাওয়া যায় ।
২ । টরেন্ট ডাউনলোডের টাকা লাগে না ।
৩ । যতবার ইচ্ছা রিজিউম করে রাখা যায় ।
৪ । টরেন্ট ডাউনলোডারও ফ্রিতে পাওয়া যায় ।
৫ । Peer বেশি থাকলে ডাউনলোডে অনেক স্পীড পাওয়া যায় ।
টরেন্টের অসুবিধা
১ । যেহেতো ফাইলগুলো অন্য কোন ইউজারের পিসি থেকে আসছে, তার পিসিতে ভাইরাস থাকলে সে ফাইলের সাথে আপনার পিসিতেও ভাইরাস আক্রমন করতে পারে।
২ । Peer কম থাকলে স্পীড কম হয় ।
সতর্কতা
১ । ভাল এন্টিভাইরাস সফটওয়ার ব্যাবহার করুন।
২ । এন্টি ভাইরাস নিয়মিত আপডেট করুনএবং সে সময় এন্টিবাইরাস এনাবল রাখুন।
৩ । টরেন্ট ফাইলের সাথে দেয়া সন্দেহজনক কোন সাইট এ যাবেন না। কারন সে সাইট গুলোতে ভাইরাস থাকে। (সব ফাইলে থাকে না)
৪ । আপনার প্রয়োজনীয় ফাইলটা ছারা অন্য ফাইলে ডাবল ক্লিক করবেন না। এন্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করে সন্দেহ মুক্ত হতে পারেন।
৫ । ফাইলটা পুরোপুরি ডাওনলোড হওয়া না পর্যন্ত রিনেম বা মুভ করবেন না।
৬ । মুভি ফাইল গুলো অনেক সময় অর্ধেক ডাওনলোড হলে প্লে করা যায়, এ ক্ষেত্রে অনেক সময় প্লে করলে সে ফাইলটা করাপ্ট হয়ে যায় এবং পরে আর ডাওনলোড হয় না।
কিছু টরেন্ট ডাউনলোড লিংক দেওয়া হল এসব জায়গায় আপনি প্রচুর পরিমাণে ডাটা পাবেন।
১ । thepiratebay
২ । Kat
৩ । Speedpeer
৪ । limetorrents
৫ । isohunt
৬ । torrentreactor
৭ । h33t
৮ । torrentz
৯ । extratorrent
১০ । torrentcrazy
টরেন্ট ডাউনলোড করার জন্য সফটওয়্যার ব্যাবহার করতে হয় । কিছু সফটওয়্যারের নাম ও ডাউনলোড লিংক দেয়া হল।
১ । Bit torrent
২ । Tixati
৩ । uTorrent
৪ । Vuze
৫ । Bitcomet
আজ এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন । ভাল লাগলে লাইক, শেয়ার বা কমেন্ট করবেন ।
Thursday, March 1, 2018
Author: itbatayan
Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.
এ সম্পর্কিত আরও খবর
copy.com হতে পারে আপনার অনলাইন স্টোরেজ সমস্যার সমাধান!!!সবাইকে অনেক অনেক সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখা টি প্রকাশ করছি। আশাকরি সকলে খুব ভালো আছেন। আমরা যারা
ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকতে যে নিয়ম গুলো মেনে চলা আবশ্যক।আমরা আমাদের কর্মব্যস্ত জীবনধারায় সামান্য বৈচিত্র্য আনতে বিশেষ কোনো বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে বছরের একটি ন
বিটকয়েন সম্পর্কে কিছু তথ্য হয়ত আপনি জানেন না।টেক দুনিয়ার খোঁজ খবর যারা রাখেন তাদের মধ্যে অনেকেই বিটকয়েন সম্পর্কে জানে। সাতোশি নাকামোতো ২০০৮ সালে
যে টিপস গুলো ফলো করলে আপনার ইন্টারনেট খরচ অনেক কমে যাবে।প্রতি মাসে কাড়ি কাড়ি টাকা খালি মোবাইলের ডাটার পেছনে খরচ হয়ে যাচ্ছে? ইন্টারনেট ডাটা রিচার্জ করছেন আর
ইন্টারনেট সম্পর্কে যে বিষয় গুলো শুনলে আপনি অবশ্যই অবাক হবেন!!আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইন্টারনেট জগত সম্পর্কে ১০ টি আশ্চর্য সত্য যা শুনলে হয়তো আপনি থমকে যাবে
এবার আসুন টপ ডোমেইন এবং কান্ট্রি ডোমেইন গুলো চিনে নিই।আমরা ইন্টারনেটে প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে বিভিন্ন এক্সটেনশনের ডোমেইন নেম দেখে থাকি যেমন: .com, .net ই
0 coment rios: