যে নিয়ম গুলো মানলে আপনি পরিক্ষায় ভালো ফলাফলের আশা করতে পারবেন।

পরিক্ষায় ভালো ফলাফল করতে হলে শুধু ধুমছে পড়লেই হবে না কিছু নিয়ম ফলো করতে হবে। যদি নিয়ম গুলো খুজতে আরম্ভ করেন তাহলে রাত শেষ হয়ে যাবে তবু নিয়ম শেষ হবে না। মানে প্রচুর প্রচুর নিয়ম আছে আর আপনি যদি সবগুলো নিয়ম দেখতে যান তাহলে পড়ালেখা বাদ দিয়ে নিয়ম মুখস্ত করতে হবে তাই আমি নিচে বিশেষ কিছু নিয়ম উপস্থাপন করলাম যে গুলো সঠিক ভাবে মানতে পারলে এবং মহান আল্লাহ তায়ালা যদি সহায় হয় তাহলে পরিক্ষায় ভালো ফলাফল অবশ্যই সম্ভব। আসুন তাহলে নিয়ম গুলো দেখি:

বিশেষ অংশ এবং পরিকল্পনায় রঙিন কোড করুন:লেখা-পড়ার অন্যতম কার্যকর ১ টি উপায় এটি। পড়ার কাজটি কিভাবে চালিয়ে যাবেন তার ১ টি পরিকল্পনা নিশ্চয়ই থাকে। এই অংশটিসহ নোটের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো রঙিন মার্কার দিয়ে চিহ্নিত করে রাখুন। ভিন্ন ধরনের অংশের জন্য বিভিন্ন রঙ ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ। যেমন- কুইজের অংশ গোলাপি, বিভিন্ন টেস্ট হালকা সবুজ, আন্ডার লাইনে অংশ হালকা নীল ইত্যাদি। এই কালার কোড সিস্টেম গুছিয়ে লেখা-পড়া চালিয়ে যাওয়ার কার্যকর একটি উপায়

সময় বের করুন: সেমিস্টারের আগের রাতে সব পড়ে শেষ করা অসম্ভব ব্যাপার। তাই বেশ কিছু দিন সময় বের করে রাখুন। অল্প সময়ের মধ্যে পড়ে পরীক্ষার ঝামেলা মেটানো যায়। কিন্তু সে পড়ায় শেখা হয় না। ফলে ভবিষ্যতে বিপদে পড়তে হবে। তাই বেশ কিছু দিন হাতে নিয়ে হালকা মেজাজে পড়লেও শিখতে পারবেন। এতে পরীক্ষা হয়ে আসবে আরো সহজ, এবং অনেক ভাল।

বইয়ে কি-পয়েন্ট হাইলাইট করুন অনেক ধরনের পরীক্ষা রয়েছে সেখানে বই দেখে পরীক্ষা দেওয়া যায়। এসব ক্ষেত্রে বইয়ের কি-পয়েন্টগুলো হাইলাইট করে নিন। আর বই দেখার সুযোগ না থাকলেও পড়াশোনার সুবিধার জন্য নিজের বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ মার্কার দিয়ে হাইলাইট করে রাখুন। সেগুলো বারবার দেখে নিতে সুবিধা হবে।

নিজের পরিকল্পনা বানিয়ে পড়া শুনা করুন: পড়াশোনাকে দারুণ কার্যকর করতে হলে পরিকল্পনা দরকার। পড়াশোনার, বিষয় আর পড়ার পদ্ধতি সবকিছু নিয়ে সময়সূচি করে নিন। তারপর সেই সময় অনুযায়ী পড়াশোনা চালিয়ে যান

নিজের পরীক্ষা নিজেই দিন: প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার মতো করে বন্ধুরা একসাথে বা আপনি একাই পরীক্ষা দিতে পারেন। এতে মূল পরীক্ষা নিয়ে যতো অজানা আশঙ্কা কেটে যাবে আপনার। অধিকাংশ যে ক্ষেত্রে দেখা গেছে এসব পরীক্ষামূলক পরীক্ষা মূল পরীক্ষার কাছাকাছি হয়ে থাকে।

গড়িমসি করবেন না: যা পড়তে হবেই তা পড়ছি পড়বো বলে ফেলে রাখবেন না। অন্তত পরীক্ষা এগিয়ে এলে এমনটি করার সুযোগ নেই। এ কাজটির জন্যই পরীক্ষার আগের রাতে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। কাজেই অল্প-বেশি পড়ার কাজ চালিয়ে যান। দেখবেন, পরীক্ষা আগ দিয়ে প্রায় সব প্রস্তুতি গুছিয়ে এনেছেন আপনি।

আড্ডা কমিয়ে দিন: আমি কিন্তু বলিনি একদম আড্ডা দিবেন না! কিন্তু আড্ডা দেয়ার সময় কমিয়ে দিন। এখন পর্যন্ত আড্ডায় কোন উৎপাদনমুখী কিংবা ভালো টপিকস নিয়ে আলোচনা হয় না। কি নিয়ে আলোচনা হয় তা আমি আপনি আমরা সবাই জানি। প্রতিদিন যদি ২ ঘন্টা আ্ড্ডা দেয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে সেটা আধা ঘন্টা কমিয়ে দিন। এভাবে আড্ডা দেয়া আস্তে আস্তে কমিয়ে দিন। তাই প্রতিদিন অল্প পড়াশোনা করার অভ্যাস করুন।

সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে এখানেই বিদায়। আল্লাহ হাফেজ।

Comments

Popular posts from this blog

এইচটিএমএল এর সকল ট্যাগ এর তালিকা। সংগ্রহে রাখুন অবশ্যই কাজে লাগবে।

অবসর সময় মজা করে কাটাতে আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম মজার কিছু ওয়েবসাইট।

ওয়েবসাইট তৈরীরর আগে যে বিষয়গুলো আপনার জানা দরকার।